মেসি যে পিএসজি’তে গেল, তাদের স্পন্সরদের মাঝে ভিজিট রুয়ান্ডা –
মানে রুয়ান্ডা ট্যুরিজম বোর্ড আছে ।
এর সাথে সাথে, আর্সেনাল এর সাথেও তাদের টুরিজম পার্টনার এবং স্লিভ স্পন্সর ।
রুয়ান্ডা যে যেতে চাই কেন এবং গিয়ে কি করবো সেখানে ?
রুয়ান্ডা, পাশের দেশ তাঞ্জানিয়া, উগান্ডা আর কেনিয়া মিলে বছরে ৬০ লাখ টুরিস্ট যায় । এবং গড়ে এরা ৫০০০ ডলার খরচ করে সাফারি এবং অন্যান্য সব কিছু মিলিয়ে । এই টুরিস্টদের বড় অংশ আসে ইউরোপের দেশগুলো থেকে ।
রুয়ান্ডা নিজেদের ব্রান্ডীং এ খুবই সিরিয়াস এবং তারা এজন্য পিএসজি, আর্সেনাল এর ট্যুরিজম পার্টনার এবং স্লিভ স্পন্সর ।
সাফারি হিসাবে, সেরেনগাতি, কিলিমাঞ্জারো পর্বত, দ্যা গ্রেট মাইগ্রেশন যেখানে ১০ লাখ পশু তাঞ্জানিয়া থেকে কেনিয়ায় যায়, মাউন্টেইন অফ মুন, নীল নদের উতস, ভিক্টোরিয়া লেক, পাহাড়ি গরিলা এসব খুবই বিখ্যাত ।
এছাড়াও বর্তমানে, আফ্রিকার সিঙ্গাপুর বলা হচ্ছে রুয়ান্ডাকে কারন তাদের দেশের নীতি, আইন, ঘূষহীন সহজ বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ রুয়ান্ডাকে আফ্রিকার ২য় স্থানে নিয়ে এসেছে ব্যাবসায়িক মিটিং করার জন্য ।
এজন্য ধীরে ধীরে রুয়ান্ডাতে ট্যুরিস্ট বাড়ছে ।
তাহলে কি করা উচিত ?
যেহেতু আমি ওয়েবসাইট এবং ব্লগিং কিছুটা বুঝি – প্রথমে পুর্ব আফ্রিকার উপরে একটা ব্লগ খুলতে হবে । সেখানে পুর্ব আফ্রিকার ভ্রমনের তথ্য এবং সম্ভ্যাব্য অন্য সব দরকারি তথ্য দিয়ে সাজাতে হবে। অ্যাফিলিয়েশন করার জন্য সেখানে হোটেল, সাফারি গুলর সাথে চুক্তি করতে হবে যা অনলাইন এই করা সম্ভব ।
সাফারি গুলো ২৫% পর্যন্ত কমিশন অফার করে ।
একেক্টা সাফারি ৩০০০ থেকে শুরু । কমিশন কত আসে ?
এভাবে যখন উপার্জন সেখানে গিয়ে বসবাস করার মত হবে, তখন কিগালিতে একটা বিজনেস লাইসেন্স করতে হবে। যা এখানে বসেই অনলাইন এ আবেদন করলেই পাওয়া যায় ।
এরপরে সেখানে গিয়ে সরাসরি ট্যুরিজম কোম্পানিগুলোর সাথে কাজ করা শুরু করতে হবে । সম্ভব হলে, দোদোমাতে গিয়ে সেখানে এয়ারবিএনবি এর সাথে কাজ করার জন্য বাসা ভাড়া নিয়ে নিজেই কাজ করা যেতে পারে ।
যেহেতু তাঞ্জানিয়ার রাজধানি দার এস সালাম থেকে দোদোমা’তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, এখন দোদোমা তে অনেক কাজের সুযোগ । এর সাথে রেকর্ড ভাল হলে, সেরেঙ্গাতি বা ন্যাশনাল পার্কেও তাবুভিত্তিক লজ করা সম্ভব ।
এর সাথে সাথে, বিভিন্ন হোটেল এবং টূরিজম কোম্পানির সাথে কাজ করার সুবাদে যে পরিচিত হবে – সেখান থেকেও কিছু সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে । টুরিস্ট মানেই ফল, মাটন এবং বিফ দরকার ।
এখানেই আসে এগ্রো ফার্ম এর কথা – নিজের এগ্রো ফার্ম করে এইসব হোটেল এবং সাফারি কোম্পানির কাছে সরবরাহ এর কাজ করে ভাল লাভ করা সম্ভব । আগে থেকে কাজ এবং পরিচিতির সুবাদে এখানে ভাল করার সম্ভাবনা প্রবল ।
এই সুযোগ গুলো ভারতীয়রয়া নিয়ে নিচ্ছে ।