একটা বাগান করতে চাই –
আম, বড়ই, আর অল্প কিছু জায়গায় দেশি কিছু ফল ।
সেখানে, সব মিলিয়ে ৫০ বিঘার মত যায়গা থাকবে । কিছুটা টিলা আকারের সবচে উচুতে দোতলা সমান উচুতে কয়েকটা ঘর থাকবে যেন বাগানের গাছের উপর দিয়ে বয়ে চলা বাতাস ঘরে আসে । বড় বড় জানালা দিয়ে দক্ষিনা বাতাস এসে যেন শরির জুড়ায়।
এই ঘরের চারপাশে কিছুটা যায়গা ফাকা থাকবে, এরপর চারপাশে কিছু দেশি জাতের ফলের গাছ থাকবে ।
বাকি যায়গায় পুরোপুরি বানিজ্যিক আম বাগান, যেখানে ২য় বছর থেকে গৌড়মতি, কাটিমন আর কিছু আম্রপালি জাতের আম গাছ থাকবে ।সেটার সাথি ফসল হিসাবে থাকবে বড়ই, কাশ্মিরি আপেল কুল আর টক কুল জাতের । অল্প কিছু নাহয় পেয়ারাও রইলো ।
সেখানে কিছু বেড়ার কুটির থাকবে । একেবারে গহিন সেই এলাকায় মাঝে মাঝে কিছু অলস লোক বেড়াতে আসবে । যারা শহরে ক্লান্ত হয়ে এখানে আসবেই আলসেমি করতে । খাবে আর ঘুমাবে – মাঝে মাঝে দোতলার খোলা মাচাং এ বসে বাতাসে ইজি চেয়ারে দোল খাবে আর বই পড়বে । বই পড়ার জন্য বস্তা বেধে এখানে নিয়ে আসতে হবে না । এখানেই যথেস্ট বই থাকবে ।
কুটিরের ভাড়া মেটাবে বই গিফট করে ।
চাইলে সন্ধার পরে কিছু মুভিও দেখল ।
এখানে খুব ভাল হাস পাওয়া যাবে, সাথে কালাই রুটি ত এখানের জাতীয় খাবার । ঝাল ঝাল হাসের মাংস দিয়ে রুটি খাবে কাদবে, চোখ মুছবে ঝালে – আহা !
দেশি মুরগি রাখতে হবে অনেক, অনেক, কবুতর রাখা উচিত, সাথে ২ খানা ঘোড়া, মহিষ থাকলে আরো ভাল – মহিষের পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়ান চমৎকার বিষয় ।
কিছু সাইকেল রাখা জরুরি । বিকেল এ যদি মনে চায় কাছের বাজারে বা আশেপাশে বেড়ানোর জন্য সাইকেল ভাল ।
বাগান পাহারা দেয়ার জন্য সরাইলের কুকুর আনতে হবে ।
এ বছরই নভেম্বর এ শুরু করার চেস্টা করা যায় ।
নাচোল, পোরশার মাঝামাঝি এলাকায় – বরেন্দ্রভূমিতে ।
মাটির কাছাকাছি থাকলে, মানুশের ডিপ্রেশন কমে যায়, যারা ডিপ্রেশন এ ভোগে তারা এখানে এসে ১৫/২০ দিন কাবিখা, বাগানে কাজ করবে খাবে আর ঘুমাবে ।
ডিপ্রেশন পালিয়ে যাবে ।