টমেটো পুষ্টি গুণে ভরা এক ধরনের সালাদ সবজি। ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি-র অন্যতম উৎসও বটে। এছাড়া এতে আছে বেটা কেরোটিন নামক এক প্রকার ভিটামিন যা রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা করে। আরো আছে আমিষ, শর্করা, খনিজ পদার্থ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। ভেষজ গুণসমৃদ্ধ টমেটোতে ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান রয়েছে। দৈনিক একটি করে টমেটো খেলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা শতকরা ৬০ ভাগ কমে যায়।
মৌসুম অনুযায়ী এ দেশে চাষযোগ্য টমেটো জাতসমূহকে মোটামুটিভাবে নিম্নলিখিত শ্রেণীসমূহে ভাগ করা যেতে পারে-
আগাম জাত- এসব জাত শীতকালেই হয়, তবে আগাম ফলে। আগাম জাতসমূহের বীজ বপন করা হয় জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে। আগাম জাতসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বারি টমেটো ৪, বারি টমেটো ৫, রোমা ভিএফ, রোমারিও, টিপু সুলতান, গ্রেট পেলে, ডেল্টা এফ ১, উন্নয়ন এফ ১, পুষারুবী, নিউ রূপালী এফ ১ ইত্যাদি।
ভরা মৌসুমী জাত– শীতকালে স্বাভাবিক সময়েই এসব জাতের গাছে ফল ধরে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে বীজ বুনে অক্টোবর-নভেম্বরে এসব জাতের টমেটোর চারা রোপণ করা হয়। অধিকাংশ জাতই শীতকালে ফলে। এসব জাতের মধ্য থেকে মানিক, রতন, বারি টমেটো ৩, বারি টমেটো ৬, বারি টমেটো ৭, বারি টমেটো ৯, বাহার, মহুয়া ইত্যাদি জাতকে বেছে নেয়া যেতে পারে।
নাবি শীত মৌসুমী জাত- এসব জাতের বীজ বুনতে হয় জানুয়ারিতে, ফল পাওয়া যায় মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত। বাহার, রোমা ভিএফ, রাজা, সুরক্ষা ইত্যাদি জাত নাবি চাষের জন্য ভাল।
সারা বছর চাষের উপযোগি জাত- বছরের যে কোন সময় টমেটোর বীজ বুনলে চারা ও সেসব চারা লাগালে গাছ হয় সত্য, এমনকি সেসব গাছে ফুলও আসে। কিন’ সব জাতের গাছে ফল ধরে না। এজন্য সারা বছর চাষের উপযোগি জাত যেমন বারি টমেটো ৬ (চৈতী) চাষ করা যায়।